যুক্ত করুন এই ৮টি ফিচার আর আপনার গাড়িকে করুন অত্যাধুনিক

যুক্ত করুন এই ৮টি ফিচার আর আপনার গাড়িকে করুন অত্যাধুনিক

পড়তে সময় লাগবে: 4 মিনিট...

প্রযুক্তির সমৃদ্ধির ফলে সহজ হচ্ছে আমাদের জীবন। প্রযুক্তি আমাদের চলার পথকে করছে মসৃণ এবং উপভোগ্য। প্রতিটা ক্ষেত্রে যোগ হচ্ছে প্রযুক্তির এই ছোয়া। বিশেষ করে পরিবহন ক্ষেত্রে তো প্রযুক্তি এনে দিয়েছে অভাবনীয় সাফল্য। অটোমোবাইলে নতুন নতুন যন্ত্র/ডিভাইস আবিষ্কার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই ডিভাইস গুলো আপনি আপনার পুরোনো গাড়িতে স্থাপন করে পেতে পারেন ন্তুন গাড়ির স্বাদ। এই ডিভাইসগুলো আপনার গাড়িকে করে দিবে আরো বেশি আধুনিক এবং দর্শনীয়। তাহলে আসুন জেনে নেই কি সেই ডিভাইস গুলোঃ

১. রিমোট কী-লেস এন্ট্রি

কী-লেস এন্ট্রি সিস্টেমের মাধ্যমে দূর থেকে রিমোট চেপেই গাড়ির দরজা আনলক করতে পারবেন। বিশেষ করে যেসব জায়গায় গাড়িতে ওঠা-নামা করা একটু অসুবিধাজনক, সেসব জায়গায় খুব সহজে গাড়ির দরজা আনলক করে দ্রুত গাড়িতে উঠতে এই ফিচারটি বেশ কাজে দেয়। বেশিরভাগ রিমোট কন্ট্রোলের বোতামে একবার চাপ দিলে ড্রাইভিং সিটের পাশের দরজা এবং দুইবার চাপ দিলে বাকি দরজাগুলো আনলক হয়ে যায়। আবার গাড়ি থেকে নেমে দরজা লক করে দেয়া যায়। কোন কোন গাড়ির রিমোট কন্ট্রোলে প্যানিক বাটন ও থাকে। রিমোটে চাপ দিলেই হর্ন বেজে ওঠে এবং আশেপাশে কোন গাড়ি চোর থাকলে তাকে ভয় পাইয়ে দিতে পারে! এতে করে গাড়ি হয়ে উঠবে স্মার্ট গাড়ি এবং নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।

২. এন্টি লক ব্রেক

গাড়ির চাকা হঠাৎ যদি লক হয়ে যায় তাহলে গতিশীল একটি গাড়ি স্কিড করে সামনের দিকে চলে যেতে পারে। গাড়ির চাকা এভাবে হঠাত লক হয়ে দুর্ঘটনার জন্ম দিতে পারে। আর দিন দিন যেভাবে গাড়ির ক্ষমতার উন্নতি ঘটছে, তাতে করে এন্টি লক ব্রেকিং খুবই দরকারি। কেননা গাড়ির গতিশীলতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তাই সুরক্ষামূলক এন্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম থাকলে ব্রেক কষলেও গাড়ি উলটে যাবার ভয় থাকবে না। ১৯৭০ এর দিকে গাড়িতে এন্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার চালু হয়। এই ব্রেকিং সিস্টেমে গাড়ির ব্রেক থেকে এমন একটি ঘন তরল নিঃসরণ হয় যা চাকাকে লক হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়।

৩. ইলেকট্রনিক স্ট্যাবিলিটি কন্ট্রোল

ইলেকট্রনিক স্ট্যাবিলিটি কন্ট্রোল গাড়ির নিরাপত্তা দিতে এমন একটি ফিচার, যা গাড়ির টায়ারের ট্র্যাকশন লস এবং এবং গাড়ির স্কিডিং প্রতিরোধে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রেক করতে সাহায্য করে। ফলে ড্রাইভারের হাত থেকে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারায় না। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও কমে যায়। ইলেকট্রনিক স্ট্যাবিলিটি কন্ট্রোল প্রতিটি চাকা আলাদা ভাবে ব্রেক করতে পারে এবং যতক্ষণ না গাড়ির নিয়ন্ত্রণ পুনরায় অর্জন হয়, ততক্ষণের জন্য ইঞ্জিন ও বন্ধ করে রাখতে পারে! ১৯৮৩ সালে সর্বপ্রথম এটির ব্যবহার শুরু হয় এবং নব্বইয়ের দশকের পর থেকে গাড়ির জন্য স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়। স্মার্ট গাড়ি গড়ে তুলতে এই ফিচারটি এখন বহুল প্রচলিত।

৪. এডজাস্টেবল ইস্টিয়ারিং হুইল

নতুন মডেলের বেশিরভাগ গাড়িতে এখন হাইট এডজাস্টেবল ইস্টিয়ারিং হুইল থাকে। যা কিনা সুবিধামত অবস্থানে এডজাস্ট করে গাড়ি ড্রাইভ করা যায়। আবার কিছুকিছু গাড়িতে শুধু ইস্টিয়ারিং হুইলটা উপরে উঠানো বা নিচের দিকে ঠেলে নামানোর ব্যবস্থা রয়েছে। গাড়িতে এই এডজাস্টেবল ইস্টিয়ারিং হুইল ব্যবহার করলে তা ড্রাইভারকে আরামদায়কভাবে ড্রাইভিং সিটে বসতে এবং নিরাপদ পজিশনে বসে গাড়ির প্যাডেলে পা রেখে ঠিকভাবে গাড়ি চালাতে সাহায্য করে।

৫. রেয়ার সিট ডিভিডি প্লেয়ার ও পোর্টেবল ডিভাইস

গাড়িতে জার্নি করেন। কখনো দূরের পথে, আবার কখনো শহুরে জ্যামের মধ্যে বসে থেকে পথেই অনেক সময় চলে যায়। এই সময়টাকে উপভোগ্য করে তোলার জন্য গাড়িতে রেয়ার সিট ডিভিডি প্লেয়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া ট্যাব বা আইপ্যাড হোল্ডার লাগিয়ে নেয়া যেতে পারে। ব্যস্ত জীবনে গাড়িতেই সেরে নেয়া যাবে বিনোদন। এসব পোর্টেবল স্মার্ট ডিভাইসের মাধ্যমে গাড়িতে বসে প্রয়োজনীয় কাজ ও করে নেয়া যাবে সহজে।

৬. জিপিএস ন্যাভিগেশন সিস্টেম

গাড়িতে জিপিএস স্যাটেলাইট সিস্টেম ব্যবহার করে আপনি সহজেই জেনে নিতে পারবেন কোন পথে আপনার গাড়ি চলছে। ঠিক কোন জায়গায় গাড়ি আছে সেটিও জানা যাবে এর মাধ্যমে। কোথাও যাওয়ার জন্য সবচাইতে ইজি রুট নির্বাচন এবং পথের দিক নির্দেশনা পেতেও সাহায্য করে এই জিপিএস ন্যাভিগেশন সিস্টেম।

৭. সাইড এয়ারব্যাগ

দুর্ঘটনার সময় গাড়ির সামনে এবং পেছনের দিকে কমপক্ষে তিন ফুটের মত যায়গা থাকে ক্রাশ স্পেসের জন্য। কিন্তু আপনার ডানে বা বামে কিন্তু এত জায়গা থাকেনা যে, গাড়ি দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ার সময় পাশ থেকে রক্ষা পওয়া যাবে। যদিও ডোর-বিম কিছুটা সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করে কিন্তু সেটা নিতান্তই কম। এবং সিটবেল্ট এর মাধ্যমে আপনার শরীরের অন্যান্য অঙ্গ রক্ষা পেলেও মাথার নিরাপত্তা দিতে পারে না। তাই গাড়ির সাইড এয়ারব্যাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। সাইড এয়ারব্যাগ দুর্ঘটনার সময় আপনার মাথাকে আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা করবে।

৮. সেন্টার কন্সোল পাওয়ার আউটলেট

নতুন মডেলের গাড়িতে তো বটেই, অনেক পুরোনো গাড়িতেও সেন্টার কন্সোল পাওয়ার আউটলেট থাকে। এই পাওয়ার আউটলেটের মাধ্যমে আপনি গাড়ি চালাবার সময় মোবাইল ফোন বা আপনার প্রিয় আইপ্যাডে চার্জ দিতে পারবেন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন এতে করে যেন গাড়ির ব্যাটারির পাওয়ার ডাউন না হয়ে যায়। নিঃসন্দেহে এটি গাড়ির জন্য একটি স্মার্ট ফিচার। তবে এটি ব্যাবহার করার সময় একটু বাড়তি নজর রাখতে হবে গাড়ির পাওয়ারের দিকে। এতে করে ইমারজেন্সি চার্জ দিতে পারলেন, আবার গাড়িও থাকল সচল! আর গাড়িও হয়ে উঠলো স্মার্ট গাড়ি!

 41 total views,  1 views today

Share your vote!


Related Posts

To Buy Prohori

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

© 2024