পাই (π) এর রহস্যযাত্রা !!!

পাই (π) এর রহস্যযাত্রা !!!

পড়তে সময় লাগবে: 2 মিনিট...

পৃথিবীর যে সকল বিষয়ে যত বেশি রহস্য থাকে সেই সকল বিষয় নিয়ে মানুষের আগ্রহের পরিমাণ তত বেশি। তেমনি এক রহস্যে ঘেরা গাণিতিক চিহ্ন পাই(π)। আজ থেকে প্রায় ৪০০০ হাজার বছর পূর্বে মিসরীয়রা সর্বপ্রথম (π) নিয়ে কাজ শুরু করে এবং ধারণা করা হয় ঐ সময়েই তাঁরা পাই এর ব্যবহার জানতেন। সেই সময় থেকে শুরু করে বর্তমানের গণিত পিপাসুরা সমান আগ্রহে (π) নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছে। গণিতে পাই এর গুরুত্ব অপরিসীম। পাই এর মান ৩.১৪১৬ বলে প্রতি বছর মার্চের ১৪ তারিখ পাই দিবস উদযাপন করা হয়। পাই(π) দিবস কখনও কখনও ১৪ই মার্চ দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটে উদযাপন করা হয়। ঐ দিন দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটকে পাই মিনিট নামে আখ্যায়িত করা হয়।

আমরা জানি পাই একটি ধ্রুবক সংখ্যা, বৃত্তের পরিধিকে এর ব্যাস দিয়ে ভাগ করলে পাই এর মান পাওয়া যায়। এর মান ৩.১৪১৬ । এতটুকু তথ্য আমরা হয়তো সকলেই জানি। কিন্তু কিছু লোক আছে যারা এতটুকুতে ক্ষান্ত নয়, তারা (π) এর মান মুখস্ত বলাকে বিশ্ব রেকর্ডের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ২০০৬ সালে আকিরা হারাগুচি নামে এক অবসরপ্রাপ্ত জাপানি প্রকৌশলী দাবি করেন তিনি ১,০০,০০০ লক্ষ্য ঘর পর্যন্ত পাইয়ের মান বলতে পারেন। অবশ্য এ দাবি এখনো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃক পরীক্ষিত হয়নি। গিনেসের স্বীকৃত পাইয়ের মান বলার রেকর্ড হল ৬৭,৮৯০ ঘর, যার অধিকারী চীনের ২৪ বছর বয়স্ক স্নাতক ছাত্র লু চাও।

কিন্তু কিভাবে এই (π) এর মান আবিষ্কৃত হল? এই প্রশ্ন আমাদের সকলের মনেই জাগে।

পেপিরাস হতে জানা যায় আজ হতে প্রায় ৪০০০ হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরের মানুষ পাই এর ব্যবহার জানত। তাঁরা পাই এর মান ব্যবহার করত (১৬/৯)২= ৩.১৬০৫ ।

২৫০ খৃষ্টপূর্বে আর্কিমিডিস প্রথম জ্যামিতিক উপায়ে পাই এর মান নির্ণয়ের চেষ্টা করেন । তিনি অবশ্য পাই এর সুনির্দিষ্ট মান নির্ণয় না করে গাণিতিক অসমতার মাধ্যমে তা প্রকাশ করেন, (২২৩/৭১< π < ২২/৭)। কিন্তু আর্কিমিডিসের এ মান অনেকটা গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছিল।

আর্কিমিডিসের (π) এর মান নির্ণয় নিয়ে আছে মজার গল্প, তিনি পাই এর মান নির্ণয়ে এতই ব্যস্ত ছিলেন যে তাঁর দেশ গ্রিস, যে রোমানরা আক্রমন করে দখল করে নিয়েছে তা তার খেয়াল ছিল না। এক রোমান সৈন্য তাঁর ঘরে প্রবেশ করে দেখেন তিনি তখনো পাই নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি রাগান্বিত স্বরে সেই সৈন্যকে বলেছিলেন “Do not disturb my circles”।অতঃপর সেই সৈন্য তাকে হত্যা করেন। পাই এর মান নির্ণয় করতে করতেই আর্কমিডিসের জীবনাবসান হয়েছিল। এটা একটা দুঃখজনক ঘটনাও বটে। কিন্তু এ থেকে পাই নিয়ে মানুষের আগ্রহ এবং পাগলামি উভয়ই প্রকাশ পায়।

পরবর্তিতে ত্রিকোনমিতির জনক টলেমি ১৫০ সালে পাই এর মান হিসেবে ৩.১৪১৬৬৬ ব্যবহার করেছেন। অবশ্য তিনি কোন পদ্ধতিতে এই মান পেয়েছেন তা জানা যায় নি।

আরবে অষ্টম শতকের দিকে বীজগনিতের জনক আল খারেজমী পাই এর মান হিসেবে ৩.১৪১৬ ব্যবহার শুরু করেন ।

১৬৬৫ সালে স্যার আইজেক নিউটন পাই এর মান নির্ণয় করেন এবং দশমিকের পর ১৬ ঘর পর্যন্ত বের করেন।

বর্তমান কম্পিউটারের যুগে পাই(π) এর মান ট্রিলিয়ন ঘর পর্যন্ত বের করা সম্ভব। কিন্তু পাই একটি অমূলদ সংখ্যা তাই এর মান কখনো শেষ হবে না।
আমরা জানি পাই একটি ধ্রুবক সংখ্যা, বৃত্তের পরিধিকে এর ব্যাস দিয়ে ভাগ করলে পাই এর মান পাওয়া যায়। এর মান ৩.১৪১৬ । এতটুকু তথ্য আমরা হয়তো সকলেই জানি। কিন্তু কিছু লোক আছে যারা এতটুকুতে ক্ষান্ত নয়, তারা (π) এর মান মুখস্ত বলাকে বিশ্ব রেকর্ডের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ২০০৬ সালে আকিরা হারাগুচি নামে এক অবসরপ্রাপ্ত জাপানি প্রকৌশলী দাবি করেন তিনি ১,০০,০০০ লক্ষ্য ঘর পর্যন্ত পাইয়ের মান বলতে পারেন। অবশ্য এ দাবি এখনো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃক পরীক্ষিত হয়নি। গিনেসের স্বীকৃত পাইয়ের মান বলার রেকর্ড হল ৬৭,৮৯০ ঘর, যার অধিকারী চীনের ২৪ বছর বয়স্ক স্নাতক ছাত্র লু চাও।

কিন্তু কিভাবে এই (π) এর মান আবিষ্কৃত হল? এই প্রশ্ন আমাদের সকলের মনেই জাগে।

 52 total views,  1 views today

Share your vote!


Related Posts

To Buy Prohori

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

© 2024